ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাবসাঃ আপনার যা জানা প্রয়োজন (২)


৩। আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে জানুন

আপনার যখন একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ থাকবে তখন আপনি অডিয়েন্স ইনসাইট এবং ডেমোগ্রাফি জানতে পারবেন। অডিয়েন্স ইনসাইট দ্বারা আপনি আপনার পেজের অডিয়েন্স সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যেমন, আপনার কোন পোস্ট কতজন মানুষ দেখেছে, লাইক করেছে, কমেন্ট করেছে বা শেয়ার করেছে তা জানতে পারবেন। আর অডিয়েন্স ডেমোগ্রাফি দ্বারা আপনি জানতে পারবেন অডিয়েন্সের বয়স, লিঙ্গ, কোন দেশ বা শহর ইত্যাদি। আপনি এসব তথ্যের মাধ্যমে কার্যকর মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরী করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারবেন।

৪। মার্কেটিংয়ের ব্যয় সংকোচন

একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ আপনি পাচ্ছেন বিনামূল্যে। এছাড়া আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সেবা যেমন, ইনসাইট বা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি আপনি পাচ্ছেন সম্পূর্ণ  বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে। আপনার ব্যবসার মার্কেটিং পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ থাকা মানে সাশ্রয়ী মূল্যে বা বিনা মূল্যে লক্ষ কোটি মানুষের কাছে আপনার ব্যবসাকে পৌছে দেয়া।

৫। ওয়েব ট্রাফিক বৃদ্ধি

আপনার কোম্পানীর ওয়েবসাইটকে ফেসবুকে সংযুক্ত করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে পারেন। যত বেশী মানুষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষ তত বেশী ধারণা পাবে। আপনি যদি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকেন তাহলে যারা আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ থেকে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তারা আপনার পণ্য কিনতে পারবে।

৬। এসইও এর উন্নতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফেসবুক বিজনেস পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)  র‌্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করতে পারবেন। যা আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে।


(.........চলবে)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন